কর্মক্ষেত্রে নিজেকে মানিয়ে নিতে
যেখানে আপনি কাজ করবেন সেই জায়গাটিকে আপনাকেই স্বাচ্ছন্দ্যের পরিবেশ তৈরি করে নিতে হবে। এরপর ও বিভিন্ন কারণে আপনার উপর হতাশা ভর করতে পারে। যদি হতাশার কারণ সনাক্ত করতে পারেন তবে তা সমাধানও করা যাবে। আর যদি আপনি তা নিয়ে অবহেলা করেন তাহলে তা হবে আপনার জন্য মারাত্মক ভুল। কর্মক্ষেত্রে হতাশা নিজের কাজ আর ভবিষ্যেক হুমকির মুখে ফেলে দেয়। ইতিবাচক আচরণ আর ব্যক্তিত্ব দিয়ে কর্মক্ষেত্রের নানা প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে তুলতে পারি আমরাই।
কর্মক্ষেত্রে যা করবেন
১. আপনি যে কারণে হতাশা ভোগ করছেন তার সঠিক কারণ খুজে বের করুন এবং তা সঠিক সমাধানের চেষ্টা করুন।
২. বেতন-ভাতা অথবা পদোন্নতির ব্যপারে আপনি যদি হতাশ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ঊর্ধ্বতন কর্তাকে তা জানান। যদি দেখছেন তাতেও কাজ হচ্ছে না তা হলে ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে চিন্তে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন।
৩. অনেকদিন মনের মধ্যে কোনো হতাশা লালন করবেন না। যদি এমন হয় অনেকদিন মনের মধ্যে কোনো হতাশাকে পুশে রাখলে তা কাজের ওপর প্রভাব ফেলে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার বন্ধু মহলে তা শেয়ার করতে পারেন। উপযুক্ত সমাধান না পেলে সিনিয়র কারো সাহায্য নিতে পারেন। এক্ষেত্রে সহকর্মী বা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
৪. কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর সাথে সম্পর্কজনিত কারণে হতাশায় ভুগলে বন্ধুত্ব আর ইতিবাচক আচরণের মাধ্যমে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে তোলার চেষ্টা করুন নয়তো আপনাকে এ কারণে পস্তাতে হবে।
৫. কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী আর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তুললে আপনার ভিতরের হতাশা বা বিষণ্নতা কিছু হলেও প্রশান্তি পাবেন। আপনার কাজের পরিবেশ আপনাকেই তৈরি করে নিতে হবে।
৬. মনে রাখবেন সব জায়গাতেই দুষ্টচক্র থাকে। কোনো অবস্থাতেই এই দুষ্ট চক্রের আওতায় পরবেন না। এর খপ্পরে পরলে আপনার জীবনে হতাশা আসতেই থাকবে।
৭. অনেকদিন একটানা কাজ করলে আপনার মনে একঘেয়েমী চলে আসতে পারে। সুযোগ পেলে কোথাও থেকে ঘুরে আসুন।
Post a Comment