পাকতে পাকতে কলা কালো হবেই। তবে এই প্রক্রিয়াকে ধীর করতে রয়েছে সাধারণ পদ্ধতি।
কলা একটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ফল। এই ধরনের অন্যান্য ফলের মতো কলাও ঠাণ্ডা পরিবেশে সংরক্ষণ আদর্শ নয়। তাই এই ফল ফ্রিজে রাখা চলবে না, রাখতে হবে কক্ষ বা সাধারণ তাপমাত্রায়। বিশেষ করে অপরিপক্ক কলা ফ্রিজে রাখা একেবারেই ঠিক না।
কলা সবুজ থাকতেই ফ্রিজে রাখলে পাকার ক্ষমতা কমে যায়।
সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক আন্তর্জাতিক কলা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ‘চিকিতা বানানাস’য়ের বিশেষজ্ঞদের মতে, “কাঁচা অবস্থায় ফ্রিজে রাখা কলা বের করে নিলেও তা পরে আর নাও পাকতে পারে।”
আর কলাকে পাকার সুযোগ দিতে হবে, নইলে তা সবুজ রং এবং কষ স্বাদেই আটকে থাকবে। কলা যত বেশি পাকবে, তা ততটাই মিষ্টি, নরম এবং বাদামি রং ধারণ করতে থাকবে।
এই রং পরিবর্তনের মানে ফল নষ্ট হয়ে যাওয়া নয়, এটাই ফলটি পাকার স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
কলা যদি ফ্রিজে রাখতেই চান তবে কলায় গায়ে বাদামি দাগ দেখা দিলে তারপর রাখতে হবে। এই দাগ থেকে বোঝা যায় যে, কাঁচা কলায় থাকা স্টার্চ বা শ্বেতসার পাকার পর চিনিতে পরিণত হয়েছে।
আমেরিকান লেখক হ্যারোল্ড ম্যাকগি তার ‘অন ফুড অ্যান্ড কুককিং: দ্য সায়েন্স অ্যান্ড লোর অফ দ্য কিচেন’ নামক বইতে লিখেছেন, “একটি ফল পেকে যাওয়ার পর ফ্রিজে রাখলে সেটার রং পরিবর্তন তুলনামূলকভাবে কমবে। তবে এর খোসা কালো হবেই।”
খোসা কালো হয়ে যাওয়া কলাগুলো দেখে পঁচা মনে হলেও এগুলো খাওয়ার যোগ্য।
যুক্তরাষ্ট্রের রন্ধনশিল্পী এবং মিল্কবার বেকারির কর্ণধার ক্রিসটিনা তোসি তার ‘লাকি পিচ’ নামক বইতে বলেন, “কলা থেকে সর্বোচ্চ স্বাদ পাওয়ার গোপন মন্ত্র হল- পেকে পুরোপুরি কালো হয়ে যাওয়ার পর ব্যবহার করা। কলার পাই বানানোর ক্ষেত্রে এই ধরনের কলাগুলোই আদর্শ।”
পয়সা খরচ করে কেনা কলা বেশিদিন রেখে খেতে চাইলে কিনতে হবে আধা পাকা অবস্থায়। তাহলে কক্ষ তাপমাত্রায় রেখে খেতে পারবেন।
কলা কখনও ব্যাগে বা বদ্ধ স্থানে রাখা যাবে না, এতে পাকার প্রক্রিয়া ব্যহত হবে। তবে যত যাই করা হোক না কেনো কলা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নষ্ট হবেই।
তাই কালো হয়ে যাওয়া কলা খেতে না চাইলে অল্প পরিমাণে কলা কিনতে হবে।
Post a Comment