পেট ব্যথা ও অগ্ন্যাশয়ে রোগ
প্রদাহ : অতিমাত্রায় ও ক্রনিক প্রদাহ হয়।
অতিমাত্রায় প্রদাহের কারণ হচ্ছে পিত্তথলি ও পিত্তনালির পাথর, অতিমাত্রায় মদ্যপান, রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি এবং জন্মগত ত্রুটি। কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াও প্রদাহ হতে পারে।
উপসর্গ : পেটের ওপরের দিকে তীব্র ব্যথা শুরু হয় যা পেটের পেছনের দিকে ছড়িয়ে পড়ে, পেটের ব্যথা তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকে এবং এর সঙ্গে বমি হতে পারে। পেটের ব্যথা এত তীব্র হয় যে রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।
রোগ নির্ণয় : রক্ত পরীক্ষা- রক্তের অ্যামাইলেজের মাত্রা, আল্ট্রাসাউন্ড এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে সিটি স্ক্যান এবং ইআরসিপির মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা যায়।
চিকিৎসা : প্যানক্রিয়াসের প্রদাহ একটি জটিল রোগ। ইমারজেন্সি চিকিৎসা প্রয়োজন। রোগীকে অবশ্যই কোনো হাসপাতালে ভর্তি করে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে চিকিৎসা করাতে হবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আইসিইউর সাহায্য লাগতে পারে। ক্ষেত্রবিশেষে অপারেশন প্রয়োজন হতে পারে। যদি প্রদাহ পিত্তথলি ও পিত্তনালির পাথরের জন্য হয় তবে প্রদাহ কমার পরে সাধারণত চার থেকে ছয় সপ্তাহ পর পিত্তথলির পাথরের অপারেশন করাতে হবে।
ক্রনিক প্রদাহ : অতিমাত্রার প্রদাহ থেকে ক্রনিক প্যানক্রিয়েটাইটিস হতে পারে। এ ক্ষেত্রে রোগীর ঘন ঘন পেটে ব্যথা হয়। খাদ্য হজম হয় না। ওজন কমে যায়। ফেনাযুক্ত পায়খানা হয়। রোগীর ডায়াবেটিস হতে পারে।
রোগ নির্ণয় : রক্ত পরীক্ষা, আল্ট্রাসাউন্ড এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে সিটি স্ক্যান এবং ইআরসিপির মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা যায়।
চিকিৎসা : বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে চিকিৎসা করাতে হবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপারেশন করা প্রয়োজন হয়। যদি প্যানক্রিয়েসের নালি বাধাগ্রস্ত হয় তবে অবশ্যই অপারেশন করতে হবে। চর্বিজাতীয় খাবার যেমন- ডিম, দুধ, গরুর মাংস, খাসির মাংস, যে কোনো তৈলাক্ত খাদ্য কম খেতে হবে। এছাড়া খাবারের পরিমাণ কম এবং ক্যালরির মান ঠিক রাখার জন্য অল্প করে বেশি বার খাওয়া যেতে পারে।
Post a Comment