Header Ads

ইসলামের দৃষ্টিতে কন্যা শিশুর অধিকার

মানুষ আল্লাহর হুকুমে মাতৃগর্ভে অস্তিত্বমান হয় এবং একটি নিদিষ্ট সময়ের পরে আল্লাহর হুকুমে মাতৃগর্ভ থেকে কন্যা অথবা পুত্র শিশু হিসেবে জন্ম লাভ করে। আল কুরআন বলে, আল্লাহ কাউকে ছেলে দেন। কাউকে মেয়ে। কাউকে উভয়টিই দেন। আবার কাউকে কোনোটিই দেন না। তাই কন্যা সন্তানের জন্মে পিতা মাতা এবং আত্মীয়-স্বজনদেরকে আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট থাকতে হবে।
 
ইসলাম পূর্ব আরবের জাহেলিয়া যুগে কন্যা সন্তানের জন্মকে পরিবারের জন্য অসম্মানজনক মনে করা হত। তাই তারা কন্যা সন্তানের  জন্মের পরে তাকে হত্যা করে ফেলত অথবা জীবন্ত কবর দিত। এই পাপাচারের বিরুদ্ধে আল্লাহ পাক কুরআনের সূরা তাকভীরের ৮ ও ৯ নং আয়াত নাজিল করলেন, ‘আর যখন জীবন প্রোথিত (শিশু) কন্যাকে জিজ্ঞেস করা হবে কী অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছিল।’ কন্যা সন্তান পরিবারে বৈষম্যহীনভাবে ভাল আচরণ পাবার অধিকার রাখে। মহানবী (স) বলেন, ‘যে ব্যক্তিকে কন্যা সন্তান দিয়ে পরীক্ষা করা হয় এবং যে কন্যার সাথে সদ্ব্যবহার করে পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়, এই কন্যা কিয়ামতের দিন তার জন্য জাহান্নামের আগুন থেকে ঢাল হয়ে যাবে। (মেশকাত শরীফ)
 
একাধিক কন্যা সন্তানের জন্ম গ্রহণেও পিতা মাতাকে অসন্তুষ্ট হওয়া যাবে না। বরং তাদেরকে ইনসাফ মত লালন-পালন করতে হবে। তদ্রূপ কারো উপর যদি একাধিক বোনের লালন পালনের দায়িত্ব ভার অর্পিত হয় তবে তাকে আল্লাহর প্রতি রাজি খুশি থেকে সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা) থেকে বর্ণিত রাসুল (স) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুই অথবা তিন কন্যার অথবা দুই অথবা তিন বোনের লালন পালন করে তার কাছ থেকে পৃথক হওয়া পর্যন্ত অথবা মৃত্যু পর্যন্ত, সে ব্যক্তি জান্নাতে আমার সাথে এই দুই অঙ্গুলির মত এক সাথে থাকবে। অতঃপর তিনি শাহাদাত অঙ্গুলি ও মধ্যবর্তী অঙ্গুলির দিকে ইশারা করেন( বুখারী)।

No comments